এক সপ্তাহে ৮ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ: ডব্লিউএইচও

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: প্রায় এক মাস স্থিতিশীল থাকার পর বিশ্বে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও এই রোগে মৃতের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ আট শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বুধবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার টেকনিক্যাল বিভাগের প্রধান ও মার্কিন মহামারিবিদ মারিয়া ভ্যান কারখোভ জানান, গত সপ্তাহ, অর্থাৎ মার্চের ৭ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ এবং এই সময়সীমার মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজারেরও বেশি সংখ্যক রোগীর।

শতকরা হিসেবে তার আগের সপ্তাহ, অর্থাৎ ১ মার্চ থেকে ৬ মার্চের তুলনায় গত সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির শতকরা হার ৮ শতাংশ বেশি বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন মারিয়া ভ্যান কারখোভ।

তিনি আরও বলেন, গত একসপ্তাহে সংক্র সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনে। চীনে এই বৃদ্ধির হার ২৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ।

এছাড়া আফ্রিকার দেশগুলোতেও বেড়েছে সংক্রমণ-মৃত্যু। মহামারির বিগত দিনগুলোর তুলনায় গত সপ্তাহে আফ্রিকার দেশগুলোতে সংক্রমণ বেড়েছে ১২ শতাংশ এবং করোনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৪ শতাংশ।

ইউরোপেও গত সপ্তাহে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্তের হার ২ শতাংশ বেড়েছে; মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়নি।

কারখোভ বলেন, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের উপধরন বিএ.২— এর প্রভাবেই বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বাড়ছে।

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বর্তমানে ইউরোপে গড় হিসেবে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যু কম হলেও মার্চের শুরু থেকেই এই মহাদেশের ৫ টি দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা। এই দেশগুলো হলো— অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুসও উপস্থিত ছিলেন বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে কয়েকটি দেশে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর হার নিম্নমূখী ছিল, তারপরও বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বেড়ছে।’

‘তবে আমাদের বিশ্বাস, (গত সপ্তাহে) আক্রান্ত-মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আমাদের হাতে থাকা তথ্যের তুলনায় অনেক বেশি; কারণ আনেক দেশেই এ বিষয়ক সঠিক পরিসংখ্যান রাখা হয় না। পুরো ব্যাপারটি অনেকটা সমুদ্রে ভাসমান হিমশৈলের মতো, যার কিছু অংশ আমরা দেখতে পাই, বাকি প্রায় পুরো অংশই থাকে সমুদ্রের পানির তলায়।